আজ বৃহস্পতিবার, ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর সারাদেশে সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৯,২৮,৯৭০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ফলাফলে দেখা গেছে, সামগ্রিক পাশের হার ৬৮.৪৫%, যা গত বছরের ৮৩.০৪% থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এছাড়া, ১,৩৯,০৩২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে, যা গত বছরের ১,৮২,১২৯ থেকে ৪৩,০৯৭ কম।
বোর্ডভিত্তিক ফলাফল
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড এ বছর সর্বোচ্চ পাশের হার অর্জন করেছে, যা ৭৭.৬৩%। অন্যদিকে, বরিশাল বোর্ডে পাশের হার সর্বনিম্ন, ৫৬.৩৮%। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে ৬৮.০৪% শিক্ষার্থী পাশ করেছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৭৩.৬৩% এবং মাদ্রাসা বোর্ডে ৬৮.০৯%।
ছাত্রীদের দারুণ সাফল্য
এ বছর ছাত্রীদের পারফরম্যান্স ছেলেদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো। ৭১.০৩% ছাত্রী পাশ করেছে, যেখানে ছেলেদের পাশের হার ৬৫.৮৮%। জিপিএ-৫ অর্জনে ছাত্রীরা এগিয়ে, ৭৩,৬১৬ জন ছাত্রী এবং ৬৫,৪১৬ জন ছেলে এই সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়েছে।
ফলাফল দেখার নিয়ম
শিক্ষার্থীরা তাদের ফলাফল অনলাইনে এবং এসএমএসের মাধ্যমে দেখতে পারবেন। অনলাইনে ফলাফল দেখতে:
-
www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
-
পরীক্ষার ধরন (এসএসসি/দাখিল/সমমান), বছর (২০২৫), এবং বোর্ড নির্বাচন করুন।
-
রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রদান করুন।
-
ক্যাপচা সমাধান করে “সাবমিট” বা “ভিউ রেজাল্ট” ক্লিক করুন।
এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল পেতে:
-
এসএসসি: SSC <স্পেস> বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর <স্পেস> রোল নম্বর <স্পেস> ২০২৫, পাঠান ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ: SSC DHA 123456 2025
-
দাখিল: Dakhil MAD <রোল নম্বর> ২০২৫, পাঠান ১৬২২২ নম্বরে।
রি-স্ক্রুটিনি আবেদন
যেসব শিক্ষার্থী তাদের ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট নন, তারা ১১ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত রি-স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনটি নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট অথবা টেলিটক বাংলাদেশের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
এ বছর মোট ৯৮৪টি বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী পাশ করেছে, যা গত বছরের ২,৯৬৮টির তুলনায় কম।
-
১৩৪টি বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী পাশ করেনি।
-
পরীক্ষা ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১৩ মে, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হয়। প্রায় ৬ লাখ শিক্ষার্থী এবার পাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ফলাফলের বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও পরিসংখ্যান শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য এই ফলাফল তাদের শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।